Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে প্রতারণা, সামাজিকমাধ্যমে বন্ধুত্বে সচেতন হওয়ার আহ্বান

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কর্মকর্তা পরিচয়ে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২০ মার্চ তিনি মতিঝিল থানায় মামলা করেন। ওইদিনই পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামি আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে। 
এজন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ যুগান্তরকে বলেন, আসামি এসএসএফ পরিচয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে। তার ফেসবুক ওয়ালে একজন এসএসএফ কর্মকর্তার ছবি দিয়ে রাখে মানুষের বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য। সেই সুবাদে আসামি মামলার বাদীকে সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডে অভিজ্ঞ ব্যাংকার হিসাবে চাকরি দিতে পারবে বলে জানায়। এজন্য কিছু টাকা খরচ করতে হবে জানালে বাদী সরল মনে রাজি হয়ে বিভিন্ন সময় আসামিকে টাকা দেয়। পরে যখন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার তখন থানায় মামলা করেন। 
তিনি বলেন, আসামি আশরাফুল মাত্র নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে। কিন্তু সে যখন ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলে তখন সে খুব স্মার্টভাবে বলে। কেউ বুঝতেই পারে না সে মাত্র নবম শ্রেণি পাশ।  তার পৈতৃক বাড়ি সিরাজগঞ্জে। 
মামলার এজাহারে বলা হয়, ফেসবুকে মো. কামরুল রেজা (আশরাফুল) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ওই ব্যাংক কর্মকর্তার। মাঝে মাঝে ম্যাসেঞ্জারে তার সঙ্গে কথা হতো।
কামরুল রেজা নিজেকে লে. কর্নেল পরিচয় দেয় এবং জানায় সে এসএসএফে কর্মরত। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর কামরুল রেজা ম্যাসেঞ্জারে বাদীকে জানায়, সে দেশের বাইরে আছে, তার ২০ হাজার টাকা দরকার। দেশে ফিরে টাকা ফেরত দেবেন। এভাবে বিভিন্ন সময়ে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা পাঠান তিনি। 
এজাহারে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে আসামি তাকে সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান। পরে চাকরি না হলে তার প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইলে কামরুল রেজা ম্যাসেঞ্জার ও তার মোবাইল নাম্বার ব্লক করে দেন। 
এ বিষয়ে তৌহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, দেশের বাইরে আছি, বঙ্গভবনে আছি, এখন বের হতে পারছি না, এসব বলে আমার কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। পরে ফেরত চাইলে আমাকে ম্যাসেঞ্জার ও ওয়াটসঅ্যাপ থেকে ব্লক করে দেয়। তখন বুঝতে পারি আমি প্রতারণার শিকার। 
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার এসআই শহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আসামি আশরাফুল এসএসএফ-এর লে. কর্নেল পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য।
Collected from jugantor