Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
যে কারণে চাকরি হারাতে পারেন বিশ্বের ৩০ কোটি কর্মী

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মোট কাজের এক-চতুর্থাংশ কাজ করে ফেলতে পারে। এছাড়া এর কারণে নতুন চাকরি ও উত্পাদনশীলতাও বৃদ্ধি হতে পারে। আর বিশ্বব্যাপী উত্পাদিত পণ্য ও পরিষেবার মোট বার্ষিক মূল্য ৭ শতাংশ বৃদ্ধি করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। নানা প্রতিষ্ঠান এখন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় বিভিন্ন কাজ করছে। আগে থেকেই অনেকের ধারণা ছিল, প্রযুক্তি মানুষের কাজ কেড়ে নেবে। 

জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি এখনও বহুলাংশে মানুষের ওপর নির্ভরশীল। জেনারেটিভ এআইয়ের কনটেন্টকে এখন মানুষের তৈরি কনটেন্ট থেকে আলাদা করা যায়। এটাই সবচেয়ে বড় অগ্রগতি বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিমন্ত্রী মিশেল ডোনেলান বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এআই যুক্তরাজ্যে পরিপূরকভাবে কাজ করছে, এতে কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না। চাকরি কেড়ে নেওয়ার পরিবর্তে এআই অন্যদের পাশাপাশি ভালো কাজ করছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআইয়ের প্রভাব সেক্টর ভেদে আলাদা আলাদা হবে—প্রশাসনিক কাজের ৪৬ শতাংশ ও আইনি পেশার ৪৪ শতাংশ কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হতে পারে। আর শুধু নির্মাণ খাতের ৬ শতাংশ ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতের ৪ শতাংশ কাজ এআই করতে পারবে।

এর আগে বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এআইয়ের মাধ্যমে ছবি আঁকার কারণে নিজেদের কর্মসংস্থানের ক্ষতি হতে পারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বেশ কয়েকজন শিল্পী।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির দ্য অক্সফোর্ড মার্টিন স্কুলের ফিউচার অব ওয়ার্ক ডিরেক্টর কার্ল বেনেডিক্ট ফ্রে বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে জেনারেটিভ এআইয়ের কারণে কত সংখ্যক কর্মী চাকরি হারাবেন, তা জানার কোনো উপায় নেই।’

কার্ল বেনেডিক্ট বলেন, সাংবাদিকেরা এ ক্ষেত্রে আরও প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবে। এতে এই চাকরিতে মজুরি কমে যাবে। তিনি বলেন, জিপিএস প্রযুক্তি ও উবারের মতো প্ল্যাটফর্ম আসায় হঠাৎ লন্ডনের সব রাস্তায় চলাচলের ভাড়া কমে যায়। এই পেশায় টিকে থাকতে অন্য চালকেরাও নিজেদের মজুরি কমিয়ে নিয়েছিলেন। মজুরি কমে গেলেও এই পেশায় থাকা চালকের সংখ্যা কিন্তু কমেনি।

গবেষণার উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬০ শতাংশ কর্মী এমন পেশায় আছেন, ১৯৪০ সালে যেসব পেশার অস্তিত্ব ছিল না। অন্য আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৮০–এর দশক থেকে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার চেয়ে দ্রুত কর্মীদের কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনে বাধ্য করেছে। আর জেনারেটিভ এআই যদি আগের তথ্যপ্রযুক্তি অগ্রগতিগুলোর মতো হয়, তাহলে এটি অদূর ভবিষ্যতে কর্মসংস্থান হ্রাস করতে পারে।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক দ্য রেজলুশন ফাউন্ডেশন থিঙ্কট্যাংকের প্রধান নির্বাহী টরস্টেন বেল বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব অত্যন্ত অনিশ্চিত ছিল। তাই প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যদ্বাণীকে খুব বড় করে দেখার কিছু নেই।
Collected from ittefaq



Do you Need Any Help?